জো বাইডেন, ঋষি সুনাক ঘুমান কী করে
ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত। গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ, পশ্চিমা ও আরব বিশ্বের ভূমিকা, ফিলিস্তিনিদের স্বপ্ন নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেখ সাবিহা আলম
ব্যাপক সমালোচনার পরও আমরা জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে হামলা হতে দেখলাম। বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, ভবনগুলো গুঁড়িয়ে গেছে। বোমা মেরে মানুষ হত্যার ঘটনা থেকে ইসরায়েলকে বিরত রাখা যাচ্ছে না কেন?
ইউসেফ রামাদান: এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব অন্ধের মতো ইসরায়েলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ইসরায়েল একটা পরিষ্কার বার্তা পেয়ে গেছে যে গণহত্যার জন্য তারা লাইসেন্স পেয়ে গেছে। তারা এখন যা খুশি তা-ই করতে পারে। তারা হাসপাতালে, উপাসনালয়ে, শরণার্থীশিবিরে সব জায়গায় বোমা ফেলছে। এমন জায়গাগুলো তারা নিশানা করছে, যে জায়গাগুলোয় দিশাহারা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছেন। তারা খাবার, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি সব বন্ধ করে দিয়েছে। এমন ঘটনা বিশ্বের কোথাও কখনো ঘটেনি। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও নয়। গাজার বাসিন্দারা হলোকস্টের চেয়েও বড় হলোকস্টের মধ্যে আছেন। এই কথাটা আমাদের জোর গলায় বলতে হবে। আমরা ক্যামেরার সামনে মরছি। আমার খুব ইচ্ছা, আমি জো বাইডেনকে জিজ্ঞেস করি তাঁর কেমন লাগছে এসব দেখে। ঋষি সুনাক, মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী? চার হাজারের মতো শিশু খুন হয়েছে। তারপরও তাঁরা ঘুমান কী করে? তারপরও তাঁরা তাঁদের জীবন উপভোগ করছেন কী করে? যখন তাঁদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি প্রশ্ন করে, তখন এই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে তাঁরা কী বলে সাফাই গান? ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। যখন এই সব নেতা-নেত্রীর ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি ইতিহাসে পড়বে যে তাদের পূর্বপুরুষেরা এসব করেছেন, তখন তাঁরা কী জবাব দেবেন? আমাদের কোনো জবাব দিতে হবে না। আপনারা আপনাদের পরিবারকে জবাব দিন।