সৌদি আরবে হজ পালনের সময় এবার প্রায় ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের ফিরে পেতে এখন তাদের হন্য হয়ে খুঁজছেন আত্মীয়-স্বজনরা।
এবারের হজে এত মানুষের মৃত্যু কেন হলো সে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে এবার এত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে যেসব হজযাত্রীর হজের অনুমতি ছিল না তারা বেশি হতাহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত যত মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মিসরের।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে আহমদ বাহা নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, “‘হতাহতের’ সংখ্যা অনেক ছিল… আমরা শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছিলাম না।”
৩৭ বছর বয়সী আহমদ বাহা মিসরের নাগরিক। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার বাহা সৌদিতে থাকেন। এবার তিনি হজে অংশ নিয়েছিলেন।
বাহা জানিয়েছেন, মক্কায় ‘ভয়ঙ্কর দৃশ্য’ দেখা গিয়েছিল। যেসব হজযাত্রীর অনুমতি ছিল না তারা কোনো সুযোগ-সুবিধাই পাননি। এমনকি নিজেদের শরীরকে ঠান্ডা করতে এসি থাকা তাঁবুতেও প্রবেশ করতে পারেননি। এতে করে তীব্র গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেছেন, “অ্যাম্বুলেন্স অব্যাহতভাবে চলছিল। ডান-বাম সবদিক থেকে মানুষকে তুলে নিচ্ছিল। মানুষ রাস্তায় ঘুমিয়েছিল। আমি আমাদের তাঁবুর ঠিক সামনেই একজনকে ঢলে পড়ে যেতে দেখেছি। এরপর তিনি আর নড়াচড়াও করতে পারছিলেন না।”
হজের সময় ছিল অস্বাভাবিক তাপমাত্রা
এবার হজ শুরু হয়েছিল ১৪ জুন থেকে। হজের আনুষ্ঠানিকতা চলেছে পরবর্তী পাঁচদিন পর্যন্ত। এই সময়টায় মক্কায় অস্বাভাবিক তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়েছিল। একটা সময় সেখানে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুন মাসে সাধারণত এমন গরম পড়ে না।
এদিকে মিসরের বাইরে জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সেনেগাল, তিউনিসিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকরাও রয়েছেন মৃত হজযাত্রীদের তালিকায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এবার হজ করতে মক্কায় গিয়ে মারা গেছেন ২৭ জন বাংলাদেশি।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট